বাংলাদেশে ভারতের অবৈধ পুশ ইন এবং ভারত সৃষ্ট বাণিজ্য অবরোধের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি)। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ট্রানজিট সুবিধা স্থগিত রাখার দাবিও জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুশ ইনের বিরুদ্ধে জেপিবির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এই আহ্বান জানানো হয়।
এতে মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ বলেন, অবিলম্বে ভারতের হাইকমিশনারকে ডেকে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানাতে হবে। বাংলাদেশে কর্মরত অবৈধ ভারতীয় শ্রমিকদের পুশব্যাক করার দাবিও জানান তিনি।
জেপিবির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, এখনই সময় এসেছে ভারতের এই নিষ্ঠুর পুশ ইন থামানোর। একাত্তর ও চব্বিশের চেতনায় বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, শক্তিশালী রাষ্ট্র—কাউকে করদ দিয়ে চলার প্রয়োজন নেই। ভারতীয় জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব, ভাষা ও সংস্কৃতিকে আমরা সম্মান করি, কিন্তু আধিপত্যবাদী রাজনীতিকে ঘৃণা করি।
জেপিবির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ভারতীয় বাংলাভাষী ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুশ ইন করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ট্রাম্প প্রশাসন অনুপ্রবেশকারীদের পুশ আউট করেছিল, তেমনি এখন ভারত সেটা করছে। পাশাপাশি ভারতে স্থলপথে রফতানি বন্ধ করে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে চাচ্ছে। ত্রিপুরায় পণ্য পাঠাতে হলে এখন কলকাতা ঘুরে যেতে হচ্ছে। অথচ আগের আওয়ামী লীগ সরকার ভারতকে ট্রানজিট ও বন্দর ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে রেখেছে। এই সুবিধা অবিলম্বে স্থগিত করা দরকার।
জেপিবির নেতারা ভারতে অবৈধভাবে আশ্রিত আওয়ামী লীগের পলাতক খুনি রাজনীতিবিদদেরও পুশ ইন করতে ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, মেজর (অব.) মুজিব, ড. ফরহাত হোসেন, আউয়াল ঠাকুর, ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট ওয়ালিউর রহমান খান, ভাইস চেয়ারম্যান এম এস ইউসুফ, গ্রীন পার্টির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, নাজমুল হাসান, মেজর (অব.) ইমরান, জাকির হোসেন লিটু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেপিবির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম রাজা।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি) আত্মপ্রকাশ করে। দলের স্লোগান—‘গড়বো মোরা ইনসাফের দেশ’। জেপিবির চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এবং মহাসচিব শওকত মাহমুদ।